Storms of life





- দাদা, কোথায় যাবেন?
- এই তো শিয়ালদা। আপনি?
- আমিও ওখানেই যাব। তা সঙ্গে কি আপনার ফ্যামিলি?
- হ্যাঁ।
- বাঃ পুরো পরিবার নিয়ে একেবারে। খুব ভালো। তা বেড়াতে যাওয়া হচ্ছে না ওখানেই থাকা হয়?
- না, থাকি তো সেই শিলিগুড়ি। ছোট মেয়ের স্কুলে গরমের ছুটি পড়ল আর মেয়ে বায়না ধরল কলকাতা ঘুরতে যাবে। আর কি, ভাবলাম অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তো ঘুরেই আসা যাক। তাই বেরিয়ে পড়লাম সপরিবারে।
- তা বেশ করেছেন। মাঝে মাঝে একটু ঘুরতে-টুরতে না গেলে জীবনটা কেমন ম্যাদা মেরে যায়। ঘুরে আসুন। তারপর দেখবেন, জীবন টা আবার আগের মত ফুরফুরে হয়ে গিয়েছে।
- তা ঠিক। তা আপনিও ঘুরতেই নাকি? একা?
- তা একরকম বলতে পারেন ঘুরতেই।
- কোথায় থাকেন আপনি?
- এইটাই তো সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন। কেউ কি জানে তার ঠিকানা কোথায়।



“পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়,



মরন একদিন মুছে দেবে সকল রঙ্গিন পরিচয়"।



মামনি, এদিকে আস তো। কি নাম তোমার? আস আস, লজ্জা করো না। আমি তোমার এক আংকেল হই। আমার কাছে চকোলেট আছে কিন্তু। এই তো মামনি এসে গেছে। বসো, আমার কোলে বসো। কি নাম যেন বললে তোমার? সায়ন্তনী। বাঃ খুব সুন্দর নাম। কিন্তু আমি তোমায় মামনি বলেই ডাকব, কেমন?(গালটা টিপে দিয়ে) দাদা, আপনার মেয়ে কিন্তু সেই মিষ্টি।
- মিষ্টি না, বলেন দস্যি। আপনার কোলে গিয়ে যে চুপ করে বসে আছে, এটা একটা অলৌকিক ব্যাপার। নইলে এক মিনিটও কোন জায়গায় চুপ করে বসে থাকার মেয়ে ও না।
- না না, কী বলছেন। আমার মামনিটা তো খুব ভালো। তাই না মামনি ?
- তা দাদা, আপনার নামটাই এখনো জানা হল না।
- পরিতোশ মন্ডল।
- ও। আমার নাম রাজেশ সরকার। আমি স্কুল টিচার। তা আপনি কি করেন?
- একটা গল্প শুনবেন?



আমি তো শুনে অবাক। কি জিজ্ঞেস করলাম, আর কি উত্তর দিল! মাথায় ছিট আছে নাকি? কিন্তু কথাবার্তায় তো সেরকম কিছু মনে হচ্ছে না। আমি আমার স্ত্রীর দিকে তাকালাম। ভ্রু তুলে একটা ইশারা করলাম। আমার স্ত্রী একটা মুচকি হাসি দিল।
- কি দাদা, শুনবেন? কি হল বৌদি? এখনো তো শিয়ালদা পৌঁছোতে অনেক সময় বাকি। গল্পে গল্পে সময়টাও কেটে যাবে। আর তাছাড়া এটা গল্প মানে কোন রূপকথার গল্প নয়। আমার জীবনের গল্প।
- তা মন্দ কি? শোনাই যাক। কি বল? (আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে)
- (আমার স্ত্রী সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল)
- কি গো আমার মামনি আমার গল্প শুনবে তো?
পরিতোশ মন্ডল তার জীবনের গল্প বলা শুরু করলেন।



আমার বিয়ের কয়েক বছর পরেও যখন আমাদের কোন সন্তান হল না, তখন বউকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ল আমার বউ বাঁজা। আমার মনের অবস্থা তখন কী হয়েছিল, তা বলে বোঝাতে পারব না। বউ এর দিকে তাকাতেও ইচ্ছা করত না। কয়েকটা দিন অনেক ভেবেচিন্তে একদিন গিয়ে বললাম, আমরা দত্তক নেব। বউ সাথে-সাথেই রাজি। তারপর একদিন ভাল দিন দেখে একটা অনাথাশ্রম গেলাম। সেখানে একটা ৫ বছরের মেয়েকে আমাদের খুব পছন্দ হল। আমরা তাকেই দত্তক নিলাম। মেয়ে অবশ্য আমার ইচ্ছাতেই নেয়া হয়েছে। আমি মেয়ের নাম রাখলাম তিন্নী। যাই হোক, শুরু হল মেয়েকে নিয়ে আমাদের সুখের সংসার। আমার বউ সারাক্ষন মেয়েকে নিয়েই পড়ে থাকত। আমি অবশ্য এতটা আদিখ্যেতা দেখাতাম না। কিন্তু সবকিছুই লক্ষ্য রাখতাম। দেখলাম কয়েকদিনের যত্নআত্তিতেই মেয়েটা পরীর মত হয়ে গিয়েছে। ঐ বছরই বউ ওকে আমাদেরই পাড়ার একটা ইংলিশ স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিল।



(এমন সময় সায়ন্তনী কান্না শুরু করে দিল। ও পরিতোশ বাবুর কোল থেকে নেমে ওর মা এর কাছে চলে গেল। ওর মা ওকে কারণ জিজ্ঞেস করলে ও কিছু না বলে ওর মা এর কোলে মাথা রেখে ফিসফিস করে কাঁদতে থাকে। পরিতোশ বাবু বলেন, মামনির বোধহয় ঘুম পেয়েছে। পরিতোশ বাবুর আওয়াজ শুনে সায়ন্তনী তার মা কে আরো জড়িয়ে ধরল। কিছু একটায় যেন ভয় পেয়েছে মনে হল। একটা সময় কাঁদতে কাঁদতে সায়ন্তনী ওর মা এর কোলে ঘুমিয়ে পড়ল। পরিতোশ বাবু আবার তার গল্প বলা শুরু করলেন।)



তিন বছর পেরিয়ে গেল। তিন্নীর এখন আট বছর বয়স। ক্লাস টু তে পড়ে। এক বছর পরই তিন্নীর জন্য আলাদা একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। আমি বলে দেই- রাতে তিন্নী ওর ঘরেই শোবে। বউ একটু ঘ্যানর ঘ্যানর করবার চেষ্টা করল। আমি এক ধমক লাগিয়ে চুপ করিয়ে দিলাম। শুরুর দিকে তিন্নী ভয় পেত। পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে গেল। তিন্নীর আট বছরের জন্মদিনটা আমি বেশ ধুমধাম করেই করলাম। এতদিন ধৈর্য ধরে যে সময়টার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম, সে সময়টা এসে গিয়েছে। আমি যখন তিন্নীকে কোলে নিতাম, ওর নরম তুলতুলে হাত-গাল-শরীর ছুঁতাম, তখন মনে হত যেন পৃথিবীর সমস্ত সুখ আমার হাতের মুঠোয়। সেই রাতে অনুষ্ঠান শেষ হতে রাত সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছিল। বউ বেশ ক্লান্ত ছিল। তাই শোবার কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল। আমার চোখে ঘুম ছিল না। ছিল স্বপ্ন। আর আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবার দিন। আমি আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। তিন্নীর ঘরে গিয়ে দেখি ও ঘুমে অচেতন। আমি তিন্নীর পাশে গিয়ে বসলাম। ওর নরম তুলতুলে গালে আমার ডান হাতটা রাখলাম। তারপর মুহূর্তের মধ্যে এক দানবিক হিংস্রতায় টান মেরে ওর প্যান্ট টা খুলে ফেলে ওর যৌনাঙ্গ খামছে ধরলাম। তিন্নী ব্যথায় মা বলে ককিয়ে উঠল। আমি সাথে সাথে ওর মুখে হাত দিয়ে বললাম, চুপ......আমি তোর বাবা। তিন্নী বলে, বাবা তুমি কি করছ? আমার ব্যথা লাগছে তো। আমি বলি, ব্যথা লাগবে না। দেখ, আস্তে আস্তে আরাম পাবি। তিন্নী বলে, না বাবা। তুমি মা কে ডাক। আমার ভয় করছে। আমি ওর কানের কাছে আস্তে আস্তে আমার মুখ নিয়ে গিয়ে বলি, এসব কথা মা কে ভুল করেও কখনো বলিস না। তাহলেই তোর মা কিন্তু তোর সাথে রাগ করে অনেক দূরে চলে যাবে। তুই কি চাস, তোর মা তোকে ছেড়ে চলে যাক? তিন্নী ভয় পেয়ে বলে, না না। তখন আমি বলি, তাহলে আমি যা করছি সেটা কখনো মা কে বলবে না। এই কথা বলে আমি তিন্নীর ঠোঁটে আমার ঠোঁট নিয়ে চুষতে থাকি। আঃ কী যে স্বাদ দাদা,কী বলব...... এক্কেবারে কমলালেবুর মতন। কী শান্তি। সে-ই শুরু। তারপর থেকে প্রায় প্রতি রাতেই আমি আমার মেয়ের রস নিংড়ে নিংড়ে খেয়েছি। সারাদিন তিন্নী আমার কাছে একটুও ঘেঁষত না। কিন্তু রাতে......রাতে আমার থেকে ওর নিস্তার ছিল না।



( আমি তখন হাঁ করে পরিতোশ মন্ডলের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। হঠাত আমার বমি পেয়ে গেল। আমি জানালা দিয়ে মুখ বের করে গলগল করে সকালে যা কিছু খেয়েছিলাম, সব ঢাললাম। অবশেষে বমি বন্ধ হলে আমি ভেতরে মাথা ঢোকাতেই পরিতোশ মন্ডল বলে উঠলেন, হয় হয়......প্রথমবার শুনলে সবারই এরকমটা হয়। একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে। আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বললাম না। ওকে যদি ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারতাম, তাহলে বোধহয় মনটা কিছুটা শান্ত হত। পরিতোশ মন্ডল তখন বলেন, কি দাদা, এখন ঠিক লাগছে তো? তাহলে শুরু করা যাক আবার, নাকি? আমার সম্মতির কোন অপেক্ষা না করেই সে তার গল্প বলা আরম্ভ করে দিল।)



দেখতে দেখতে তিন্নী তেরো বছরে পা দিল। সেই বছরেই ওর প্রথম মাসিক হল। আর শুরু হল আমার কষ্টের দিন। মাসিকের ঐ আট-নয়টা দিন কিভাবে কাটাতাম, তা বলে বোঝাতে পারব না। গরীবের কষ্ট কেউ বোঝে না, বুঝলেন দাদা। কিন্তু সেসময়ই একটা অঘটন ঘটল। যা হবার ছিল না তাই-ই হল। তিন্নী ওর মা কে সবকিছু বলে দিল। আমার তখন মাথার ঘা এ কুত্তা পাগল অবস্থা। তার পরদিন তিন্নী স্কুলে চলে গেল। আর ওর মা এদিকে ব্যাগ গোছাতে লাগল। আমি গিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে কি চলেই যাবে ঠিক করলে? বউ আমার দিকে ঘুরে দাঁড়াল আর তারপর সজোরে আমার গালে চড় বসিয়ে দিল। তারপর আবার ব্যাগ গোছাতে শুরু করল। আমি চুপচাপ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। রান্নাঘরে গেলাম। গিয়ে সেখান থেকে বটিটা নিয়ে ঘরে এসে বউয়ের মাথায় জোরে একটা কোপ বসিয়ে দিলাম। এক কোপে ঝামেলা শেষ।



(আমি তখনো নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমি একটা খুনীর সামনে বসে আছি আর এতক্ষন ধরে তার সাথে কথা বলেছি। আমার মুখে বারবার থুথু চলে আসছিল। হঠাত আমার স্ত্রী আমার হাত ধরল। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। ও আমাকে ইশারায় কোনকিছু করতে বা বলতে নিষেধ করল।)



আমি লাশটা টেনে বাথরুমে নিয়ে আসলাম। তারপর আগামী তিন ঘন্টায় গভীর অধ্যবসায়ের সাথে লাশটাকে মোট চুয়াত্তরটা টুকরা করলাম। দাদা, এটা মনে করবেন না যে আমি অত্যন্ত নিষ্ঠুর একটা মানুষ। লাশ কাটাকাটি করে কোন মজা নাই। বহুত হ্যাপার কাজ, বুঝলেন দাদা। কিন্তু কি করব, ঠ্যালায় পড়লে বিড়াল গাছেও ওঠে। আমারও তাই অবস্থা। এরপর স্নান করে সেই টুকরোগুলোকে বস্তায় ভরে নিয়ে দশটা আলাদা আলাদা নদীতে টুকরোগুলোকে ফেললাম। তারপর বাড়ি গিয়ে বস্তাটা পুড়ে ফেলে ঘর পরিষ্কার করে তিন্নীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তিন্নী এসেই ওর মা কে খুঁজতে লাগল। আমি বললাম, তোমার মা চলে গিয়েছে। তিন্নী কি বুঝল জানি না। কিন্তু ও আর একটা কথাও জিজ্ঞেস করল না। নিজের ঘরে চলে গেল। এরপর আবার সেই আগের মতন।পুলিশ এর মধ্যে কয়েকবার এসেছিল। আমি বলেছি সে চলে গিয়েছে। তিন্নীকেও জেরা করল। কিন্তু এবার আর সে কোন ঝামেলা করে নি। আমাকে কিছুদিন ফলোও করেছে। কিন্তু লাশই যেখানে নেই, সেখানে আমায় আর কি করতে পারত? তাই তারাও আমার ঘন্টা কিছু করতে পারল। পাঁচ বছর একেবারে নির্ঝঞ্ঝাট কাটল। এর মধ্যে দু’বার অবশ্য তিন্নীর গর্ভপাত করাতে হয়েছে। সেটা তেমন কোন বড় ব্যাপার না। আমি কোথায় জানি পড়েছিলাম যে গান্ধীজিও নাকি একবার চুরি করেছিলেন। একবার ভাবেন অবস্থাটা। মহাপুরুষদেরও ভুল হয়ে যায়; আর আমি তো ক্ষুদ্র একটা প্রানী। নাকি দাদা, কি বলেন। হে হে হে............... । তা বাকি সব ঠিকঠাকই চলছিল। তিন্নীও আর প্রতিবাদ করত না। অবশ্য ঐ খোটাখোটির সময় একেবারে মরার মত পড়ে থাকত। তা একটু সমস্যা হত বইকি। কিন্তু ম্যানেজ করে নিতাম। কি বলব বলেন- নিজের প্রশংসা নিজেরই করতে হয়। এসব ব্যাপারে আমি আবার হলাম গিয়ে শিল্পী মানুষ..... মানে যাকে বলে ছুপা রুস্তম......হে হে .......। এই আর কি; হে হে......। কিন্তু তিন্নী যে আমায় লুকিয়ে লুকিয়ে একটা ছেলের সাথে প্রেম করছিল, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাই নি। একদিন তিন্নী পালিয়ে গেল। খাঁচার পাখি উড়ে গেল। শালা, সব নেমকহারাম, বুঝলেন তো দাদা। এই যে আমি দিনের পর দিন খাওয়ালাম-পরালাম-সুখ দিলাম, তা কি মনে রাখল। না.........এক ঝটকায় সবকিছু ফেলে পালিয়ে গেল। একি দাদা, আপনি এভাবে ঘামছেন কেন? আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?



(Train AC room apart, I daradara the ghamachilama. My wife, fearing the sitiye gone. I paritosa mandala face look forward to. There is no shame, no guilt. There are good man with a mask which is hidden behind the horrible ugly melting rotting in an appearance. Paritosa Zone but still continues.)



Grandfather, realize that your body is not feeling well. Around the end of my story. I will not bother you anymore. Well, you can say, why sonalama to this story? I can say that it is a bizarre hobby. Whenever I go somewhere, like yours, my story sonai unknown person. It is good when I see it like you ghamache, fear, hate me, and wanted me to pretend, but can not do anything. Talk of a grandfather, my name is Pleasure Zone. I said wrong. You can understand how it is important to be careful in these matters. However, the end of my story to tell. Tinni returned home after four years. Two-year-old daughter in his arms. Tasake husband's accident. So there is no place else to go. Grandfather knew, never destined for the orphans of happiness is not known. I've seen it. What's more, the kindness of my body. Some parents do not see. I have forgotten everything. But I do not tinnike catch-Troy. Interests are not. However, the grandfather, his daughter has been sweet to see that, What to say. When Noah and his eight-year ..................................



Paritosa Zone is bored of looking at the outside.

First Story
Like this story?
Join World Pulse now to read more inspiring stories and connect with women speaking out across the globe!
Leave a supportive comment to encourage this author
Tell your own story
Explore more stories on topics you care about